মাথায় ক্যাপ, গায়ে কালো টি-শার্ট, পরনে কালো প্যান্ট আর পায়ে স্নিকার। বিমানবন্দরে লন্ডন ফেরত ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালকে দেখা গেলো ‘ট্রাভেল লুকে’ই। চোখে-মুখে যেন স্বস্তির আভাস, উপস্থিত সংবাদকর্মীদের দিকে হাত নেড়ে অভিবাদন জানিয়ে চড়ে বসলেন গাড়িতে।

সোমবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে তামিমকে বহনকারী বিমান ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

পিঠের পুরোনো চোটের চিকিৎসার জন্য তিনি লন্ডন গিয়েছিলেন ২৬ জুলাই।

মূলত পিঠের নিচের অংশের ব্যাথামুক্তির জন্য গত সোমবার লন্ডন গিয়েছিলেন তামিম।

সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সিদ্ধান্ত হয় লাম্বার ফোর ও লাম্বার ফাইভের সংযুক্ত ডিস্কে দুটি ইনজেকশন নেবেন তিনি।

গত বৃহস্পতিবার প্রথম ইনজেকশন নেন। দ্বিতীয় ইনজেকশন নেন শুক্রবার।

এ বছরই আরেকটি ইনজেকশন নিতে হবে তাকে। সেটা কিছুদিন পর নিলেও সমস্যা নেই। তবে এক বছরে তিনবারের বেশি ইনজেকশন নিতে পারবেন না।

জানা গেছে, বিশ্বকাপের আগে আরেকবার লন্ডন যেতে হবে তার। তৃতীয় ইনজেকশন তখনই নেবেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এ ধরনের ইনজেকশনের কার্যকারিতা ২-৩ মাস থেকে ৪-৫ মাস পর্যন্ত থাকে।

কিছু ক্ষেত্রে এক মাসের মধ্যেও ব্যাথা অনুভব হতে পারে।

লন্ডনে এবার তার চিকিৎসার দুটি পথ খোলা ছিল। প্রথমত, ইনজেকশনের মাধ্যমে ব্যাথা দমিয়ে রাখা। দ্বিতীয়ত, স্থায়ী সমাধানের জন্য অস্ত্রোপচার করানো। ইনজেকশন নিয়ে তামিম সপ্তাহখানেকের ভেতরেই মাঠে ফিরতে পারবেন।

অস্ত্রোপচার করানো হলে অন্তত তিন মাস থাকতে হবে বিশ্রামে।

সামনে এশিয়া ও বিশ্বকাপের কথা চিন্তা করে তামিম হেঁটেছেন ইনজেকশন নেওয়ার প্রক্রিয়াতে। তাতে বিসিবিও রাজি হয়েছে। পিঠের নিচের অংশের ব্যাথায় দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন তামিম। এসময়ে দেশে-বাইরে মিলিয়ে জাতীয় দলের হয়ে বেশ কয়েকটি সিরিজ খেলা হয়নি তার।

নিজের উদ্যোগে বেশ কয়েকবার দেশের বাইরে চিকিৎসাও নিয়েছেন। লন্ডন, মুম্বাই, ব্যাংককে একাধিক চিকিৎসক দেখিয়ে ট্রিটমেন্ট নিয়েছেন। কিন্তু স্থায়ী সমাধান হয়নি।

প্রথম ম্যাচের আগে তিনি জানান, শতভাগ ফিট না হলেও তিনি খেলবেন। তার এমন মন্তব্যে ঝড় উঠে যায় দেশের ক্রিকেটে। বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন গণমাধ্যমে বাজে প্রতিক্রিয়া দেখান। তামিম সেই প্রতিক্রিয়ার পরপরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন।

পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তামিম অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফেরার ঘোষণা দেন। বর্তমানে ছুটিতে আছেন তিনি। দেড় মাসের ছুটি কাটিয়ে এশিয়া কাপ দিয়ে ফেরার কথা তার। তবে এর পুরোটাই নির্ভর করছে অভিজ্ঞ এই ওপেনারের চিকিৎসার ধরনের ওপর।